===

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় | Chul Pora Bondo Korar Upay | Ways to stop hair loss

ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করতে পারেন রসুন, পেঁয়াজ বা আদার রস। এই উপাদানগুলোর রস রাতে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। সারারাত রেখে সকালে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। এক সপ্তাহ নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফলাফল পাবেন হাতেনাতে।

চুল পড়া বন্ধ করার ৭ ঘরোয়া উপায়

চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন? প্রতিদিন একশোটি চুল পড়ে যাওয়াকে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হয় যদিও। কিন্তু এর বেশি চুল পড়লেই বিপদ। ঘরোয়া কিছু উপায়ে খুব সহজেই কমিয়ে ফেলতে পারেন এই সমস্যা।   

মেথি
আধা কাপ নারকেল তেলে ১ চা চামচ মেথি দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরা জেল
সপ্তাহে দুইদিন অ্যালোভেরা জেল লাগান চুলে। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে লাগান চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে। চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ঝলমলে হবে চুল।

মেহেদি ও সরিষার তেল
২৫০ মিলি সরিষার তেলে ২০টি মেহেদি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে ম্যাসাজ করুন চুলের গোড়ায়। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করুন এই তেল। 

পেঁয়াজের রস
চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস ভীষণ কার্যকর। পেঁয়াজের রস সরাসরি চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। ঝাঁঝালো গন্ধ দূর করতে চাইলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।

ডিমের কুসুম ও মধু
ডিমের কুসুম ফেটিয়ে মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। আধা ঘণ্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

তেল
কয়েক ধরনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে একদিন ম্যাসাজ করুন চুলে। আগে গরম করে নেবেন সামান্য। ম্যাসাজ শেষে গরম তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে নিন চুল। ১৫ মিনিট পর তোয়ালে খুলে অপেক্ষা করুন আরও ১০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

অলিভ অয়েল, জিরা ও মধু
১/৪ কাপ অলিভ অয়েলে ১ চা চামচ জিরা ভিজিয়ে রাখুন ৫ ঘণ্টা। এরপর মিশ্রণটি ছেঁকে তেল আলাদা করে নিন। তেলে খানিকটা মধু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে কাজ হবে দ্রুত।

 


পুরুষের চুল পড়া বন্ধের ১০ উপায় 

চুল পড়ার সমস্যায় নারী-পুরুষ উভয়েই ভোগেন। তবে পুরুষরা যেহেতু বেশিরভাগ সময়ই ঘরের বাইরে সময় কাটান, তাই তাদের চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও নারীরা চুলের যতটা যত্ন নেন, তার একভাগও পুরুষরা করেন না।

সব মিলিয়ে কম বয়সেই অনেক পুরুষই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। কারও কারও মাথায় চুল পড়ে টাক হয়ে যায়। আর মাথার চুল কমে গেলে আত্মবিশ্বাসও কমে যেতে থাকে। তাহলে উপায়?

 

চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও ঘরোয়া উপায়েও অনেক ক্ষেত্রে চুল পড়া বন্ধ করা যায়। তবে অনেকেরই জিনগত কারণে চুল পড়ে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

তবে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘরোয়া ১০ উপায়েই হারানো চুল ফিরে পেতে পারেন। তাও আবার মাত্র ২ সপ্তাহেই! চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধের কার্যকরী ১০ উপায়-

>> চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে ভিটামিন ই চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলের ফলিকল উত্পাদনশীল থাকে। এছাড়াও ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্যকর রং বজায় রাখে।

>> অনেক সময় খাদ্যাভাসে পরিবর্তন হলে বা শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পড়ে। তাই খাদ্যতালিকায় চর্বিযুক্ত, মাংস, মাছ, সয়াসহ প্রোটিন রাখুন। এগুলো চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ও চুল পড়া বন্ধ করে।

>> নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা জরুরি। এতে চুলের গোড়ায় জমে থাকা ময়লা সহজেই দূর হয়। ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়। মনে রাখবেন, চুল অপরিষ্কার থাকলে খুশকি ও মাথার ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

>> কখনও ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। অনেক পুরুষই হয়তো এ বিষয়টি মানেন না। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে। ফলে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

>> ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করতে পারেন রসুন, পেঁয়াজ বা আদার রস। এই উপাদানগুলোর রস রাতে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। সারারাত রেখে সকালে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। এক সপ্তাহ নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফলাফল পাবেন হাতেনাতে।

>> শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হলেও চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে গেলে বুঝবেন আপনার শরীরে হয়তো পানিশূন্যতা হয়েছে। তাই দৈনিক অন্তত ২-৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করুন।

>> গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা কমে। এজন্য এক কাপ পানিতে দু’টি গ্রিন টি ব্যাগ মিশিয়ে নিন। তারপর তা ঠান্ডা করে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ব্যবহার করুন। ঘণ্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলুন। ৭-১০ দিন একটানা ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা সমাধান হবে।

>> সব সময় খেয়াল রাখুন মাথার ত্বক যেন বেশি তৈলাক্ত না থাকে। অনেকেরই মাথার ত্বক বেশি ঘামে। ঘামের কারণে মাথার ত্বকে বেশি ময়লা জমে। ফলে পুরুষের চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে। এজন্য অ্যালোভেরা ও নিম যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তাহলে মাথা ঠান্ডা থাকবে ও চুল কম ঘামবে।

>> ধূমপান ও মদ্যপানের কারণেও চুল পড়তে পারে। ধূমপান করলে মাথার ত্বকে প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ কমে যায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হয়। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

>> দৈনিক শরীরচর্চা করুন। দিনে অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। পাশাপাশি সাঁতার কাটা বা সাইকেলও চালাতে পারেন। এতে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে ও স্ট্রেসের মাত্রা কমবে। ফলে চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।

টানা দুই সপ্তাহ এই নিয়মগুলো মানলেই আপনার চুল পড়ার সমস্যা খানিকটা হলেও সমাধান হবে। তারপরও যদি না কমে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url