গল্পঃ দেহের চাহিদা মেটানোকেই কি ভালোবাসা বলে | Part-03 | What is love to meet the needs of the body
গল্পঃ দেহের চাহিদা মেটানোকেই কি ভালোবাসা বলে | Part-03 | What is love to meet the needs of the body
এদিকে মাহি তার নিজের ইজ্জত বাচাতে দৌড় দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে ছুটতে লাগলো হঠাৎ মাহির সামনে একটা গাড়ি এসে পড়ে আর মাহি সোজা গাড়ীর নিচে পড়ে যায়।
গাড়ির মালিক প্রথম তো মনে করেছিলো যে গাড়ির নিচে পড়ে হয়তো মেয়েটা মারা গেছে কিন্তু যখন দেখলো মেয়ে ছটফট করতেছে তখন মালিক তাকে তারাতারি হসপিটালে নিয়ে যায়।
দুর্ভাগ্য বসত মাহির পেটে থাকা বাচ্চা টা সেখানেই মৃত্যু বরন করে। যখন কথা টা মালিক শুনল তখন মালিক নিজেকে অনেক বড় অপরাধী মনে করতে লাগলো।
কারন তার জন্য আজ একটা নিষ্পাপ বাচ্চা শেষ হয়ে গেলো দুনিয়াতে আশার আগেই। তার জন্য আমি তার এক হাতকে বার বার দেয়ালের মধ্যে বারি দিতে লাগলো আর নিজেকে কষ্ট দিতে লাগলো।কারন মালিক ভাবছে তার এই হাতের জন্য আজ এমন হয়েছে।
কারন মালিক জীবনের প্রথম গাড়ি চালাইতেছিলো। কারন ড্রাইবার গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলো। আর একটা কাজ তার অনেক জরুরি হয়ে গিয়েছিলো তাই সে নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলো।
একটু পরে মাহির জ্ঞান ফিরলো। ডাক্তার এসে মালিককে এই সংবাদ দিলো মালিক তারাতারি মাহির কাছে গেলো। আর দেখলো মাহি হালকা সুস্থ আছে। মালিক তার পাসে বসে কেমন জানি করতেছিলো কারন।
মালিক ভাবছে সে যদি জান্তে পারে তার সন্তান আমি মেরে ফেলেছি তখন অনেক কষ্ট পাবে। আর আমাকে কি করবে আল্লাহ জানে।
মালিক ভয় পেয়ে মাহিকে জিজ্ঞেস করলো সে কে আর কোথায় জাচ্ছিলো।
মাহি তার কোনো উত্তর দেয় নাই শুধু মালিকের চোখের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কারন মাহির মনে হলো মালিকের চোখ গুলো তার অনেক চিনা।
কিন্তু সে কোথায় এই চোখ দেখেছিলো তা ঠিক মনে নাই। তখন মাহি নিরবতা ভেঙে বললো আমি মাহি বাসা নিউ মার্কেট।
তখন মালিক কিছু বলতে চাইলো কিন্তু মাহি মালিককে থামিয়ে দিয়ে বললো আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে জানি কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি ইচ্ছা করে আপনার গাড়ির সামনে পড়ি নাই। আমি একটা বিপদে পড়ে আপনার গাড়ির মধ্যে এসে পড়েছি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেন।
তখন মালিক বললো কি এমন বিপদ জান্তে পারি কি।
তখন মাহি বললো আমি তো আপনাকে চিনি নাহ। তো আপনাকে বলবো কি করে।
তখন মালিক বললো। আমি হলাম আশিক আমি সাভার থাকি আর আমার একটা কোম্পানি আছে আর হালকা লেখালেখি করি ফেসবুকে। এইটা বলার সাথে সাথে মাহি তাকে জড়িয়ে ধরলো।
তখন মালিক মানে আশিক বললো এই আপনি কি করছেন এইভাবে জড়িয়ে ধরছেন কেনো মানুষে দেখলে কি বলবে এইটা বলার সাথে সাথে দেখলো কয়েক জন নার্স এসে হাজির।
এখনও মাহি আশিককে জড়িয়ে ধরে আছে আশিক ছোটার অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো নাহ। এই দিকে নার্স এইটা দেখে হাসতে লাগলো। আরেক নার্স তো বলেই বসলো।
মেম এইটা হসপিটাল এইখানে নয় বাসায় গিয়ে এইসব করুন। এটা শোনার সাথে সাথে আশিক লজ্জায় পরে মাথা নিচু করে ফেললো।
আর মনে মনে আশিকের অনেক রাগ হলো। কারন মেয়েটাকে সে চিনে নাহ জানে নাহ তাও সেই মেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে আছে। আশিক মনে মনে ভাবলো যে সে ফেসেই গেছে।
কিন্তু যখন আশিক দেখলো তাকে মাহি ছেড়ে দিয়েছে। তখন আশিক একটু খুশি হলো আর একটা দির্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বললো বাচা গেলো।
হটাৎ আশিক তার কাধে হাত দিলো দেখলো তার ব্লেজারটা ভিজা সে ভাবতে লাগলো ভিজা কেনো তখন লক্ষ করলো মাহি তাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেছে আর চোখ ফুলিয়ে ফেলছে।
তখন আশিকের তার প্রতি কৌতুহল বেরে গেলো আর জিজ্ঞেস করলো আপনি কে আর আমাকে জড়িয়ে ধরে এইভাবে কান্না করেছেন কেনো।
তখন মাহি তার ফোনটা নিয়ে একটা কল করলো আশিক দেখলো কলটা তার ফোনে আসছে আর মোবাইলের স্কিনে ভেসে ওঠেছে( মাই বেষ্ট লাইফ লাইন)
আশিক একবার তার ফোন দেখে আরেক বার মাহির ফোন দেখে। তারপর কিছুক্ষন তারা দুই জনেই নিরব থাকে একটু পরে আশিক উঠে মাহিকে একটা থাপ্পর মারে অনেক জোরে মাহি পড়ে যায় হাসপাতালের বেডের উপর।
তখন আবার আশিক তাকে তুলে তার বুকের সাথে চেপে ধরে বলে তুই কেনো এইসব করতে গেলি তুই জানস নাহ তোকে আমি কতটা কেয়ায় করি কতটা ভালোবাসি।
এই সুইসাইড টা করার আগে এই বন্ধুর কথা একটুও মনে পড়লো নাহ একবার ভাবলি নাহ এই বন্ধুর কথা। আরে আমাদের ফেইসবুকে পরিচয় হয়েছে দেখে তুই ভাবছিস আমি তোর জন্য কিছু করবো নাহ।
বলে আশিক মাহির এক হাত ধরে টানতে টানতে কাজি অফিস নিয়ে যায়। আমি বললাম কিরে তুই এইখানে কেনো নিয়ে এসেছিস।
তখন আশিক বললো চুপ চাপ বসে থাক একটু পরে দেখতে পারবি কেনো নিয়ে এসেছি। আশিক একটা ফোন করে সাথে সাথে তার পাঁচ ছয় জন বন্ধু চলে আসে সেখানে।
মাহি তখন দেখতে পেলো সবার হাতে একটা করে মালা। মাহি আবার আশিককে বললো কি হচ্ছে এখানে বল নাহ।
তখন আশিক বললো এইখানে একটা সাইন কর তারপরে বলছি।
মাহি বললো আমি না জেনে এইখানে সাইন করবো নাহ।
তখন আশিক একটু রাগ করে ধমক দিয়ে বললো তোকে সাইন করতে
বলছি তুই সাইন কর নাহলে কিন্তু।
তখন মাহি ভয় পেয়ে সাইন করে দেয়। তখন সবাই খুশি হয়ে হাত তালি দিতে থাকে আর কাজি সাহেব দোয়া করতে লাগলো।
তারপর আশিক সবার থেকে মালা নিয়ে সব মালা মাহির গলায় পরিয়ে দিলো। এতো মালা দিলো যে মাহির মাথা গলা সব এক হয়ে গেলো।
আর তা দেখে আশিকের বন্ধুরা সবাই হাসতে লাগলো।
তখন আশিক এর বন্ধু বলে উঠলো ভাবি আমি আশিকের মুখে শুনেছি আপনি অনেক ভালো রান্না পারেন তো আমার একটা রিকোয়েষ্ট সবার প্রথম আমাকে রান্না করে খাওয়াবেন।
আশিক বললো তোরা সব খেতে পারবি তবে একটা শর্তে
তখন সবাই বললো কি শর্ত?
আশিক বললো তোরা এখন আর তোদের ভাবিকে ডিসটার্ব করিস না। বাসায় যাতো ভাবির আজ অনেক কষ্ট হয়েছে কাল সকালে চলে আসিস আর যতো ইচ্ছা আড্ডা দিস কেমন।
তখন তাদের থেকে আশিক বিদায় নিয়ে আসলো আশিক আর মাহি রুমে গেলো।
আজ তাদের বাসর রাত মাহি খাটের উপর বসে আছে। রাত বারোটা বেজে গেছে আশিক এখনও রুমে আাসে নাই একটু পরে আশিক আসলো মদ খেয়ে মাতাল হয়ে রুমে ঢুকেই
চলবে-----------------------------------।
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর গল্পটি কি আগামী পর্বে শেষ করে দিবো কিনা তা জানাবেন।