===

যে আপুদের বিয়ে হয়নি তাদের উদ্দেশ্যে | For the purpose of those sisters who are not married

 

আপুদের একটি অনুরোধ করতে চাই....
(১) যাদের বিয়ে হয়নি তাদের উদ্দেশ্যে-
 
প্লিজ বিয়ে করতে দ্বীনদারীতাকে প্রাধান্য দিবেন...
আর সব পরে আপু...
 
বাবা মাকে বলে রাখবেন আপনার টাকা পয়সা বাড়ী গাড়ী
ভালো জবকারী স্বামী না হলেও হবে।
কিন্তু দ্বীনদার স্বামী হতেই হবে...
 
ক্লিনশেভড সুন্দর চেহারার মোহে পড়লে খুব ভুল করবেন আপু....
অসম্ভব সুন্দর চেহারা হলেই কেউ মানুষ হয়ে যায়না...
ওইসব সুন্দর চেহারার আড়ালেও অনেক সময় অমানুষ বাস করে....হিরো টাইপের ছেলেরা বরং চারিত্রিক দিক হতে খারাপ হয় বেশি।
ছেলে খুব ভালো জব করে?
অনেক টাকা আছে?
মাসে মাসে শপিং করতে পারবেন ইচ্ছামত!
যা ইচ্ছা পাবেন....
 
আচ্ছা পেতেই পারেন।
কিন্তু দিন শেষে স্বামীর ভালোবাসাই না পেলে ওইসব বিলাসিতার মূল্য থাকবে কি আদৌ?
বিলাসবহুল জীবন যাপন ই সুখী করে কাওকে ভাবলে বড় ভুল করবেন....
_ব্যাংকে জব করে এমন কাওকে বিয়ে না করতে অনুরোধ করবো..
কারন এই দেশের কোন ব্যাংক ই সুদী লেনদেন
মুক্ত না পুরোপুরি।
 
অধিকাংশ আলেম, শায়েখের মতেই কোন ব্যাংকে ই জব করা জায়েজ নেই, এই জবের বেতন হারাম!
আর হারাম উপার্জনে খেয়ে পড়ে বরকত পাবেন কিভাবে!
উপার্জন হালাল হওয়া খুব জরুরি আপু।
আর ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,
এইসব পেশার কথা শুনলেই বিগলিত হয়ে যাবেন না।
আগে দেখুন তার মাঝে দ্বীনদারীতা আছে কিনা।
হুম এসব পেশার যে কাওকে বিয়ে করতে পারেন।
যদি সে খাস তাবলিগী হয়...
 
এই যমানায় মানুষ কে দ্বীনমুখী করতে,
আল্লাহভীরু করতে,
তাবলীগের ভূমিকা অসাধারণ।
পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রকৃত তাবলীগী হওয়াকে প্রাধান্য দিলে ঠকবেন না এই টুকু আশা করাই যায়...
আর যদি দ্বীনদার আলেম কাওকে পান তাহলে তো কথাই নেই...
এ ক্ষেত্রে শুধু দ্বীনি লেবাস থাকাই দ্বীনদারীতা না।
অনেক হুজুর টাইপের মানুষ ও স্ত্রীর উপর অন্যায় করেন.. কারন প্রকৃত দ্বীনদারীতা নেই।
আল্লাহ ভীরুতা নেই....
 
তাই যেভাবে হোক দ্বীনদার খুঁজবেন।
মানুষ এর মাঝে খারাপ প্রবৃত্তি কাজ করেই কিন্তু দ্বীন সেইসব খারাপ অভ্যাস/দিক গুলোকে সারিয়ে একজন খাঁটি মানুষ করে তুলে...
_ছেলের ফ্যামিলি দ্বীনদার কিনা এটাও দেখতে হবে।
তাদের মাঝে যদি পর্দা না থাকে,
ঘরে টিভি থাকে তাইলে আপনি সেই ঘরে গিয়ে দ্বীনদার হয়ে চলবেন কিভাবে!
শ্বশুড়বাড়ীর মানুষ রাগ করলে,অপছন্দ করলে পর্দা ছেড়ে দিবেন?
অনেকেই এটা করে....
 
অথচ আল্লাহর অবাধ্যতা করে তার কোন বান্দার আনুগত্য করা হারাম।
স্বামীও যদি স্ত্রীকে স্পষ্ট হারাম কিছু করার আদেশ দেয় তাইলে স্ত্রী কখনোই সেই আদেশ মানা জায়েজ নেই।
চাই তাতে স্বামী যত অসন্তুস্ট ই হন না কেন।
সো চোখ বুজে বিয়ে করে তারপর দ্বীন নিয়ে টানাটানিতে পড়তে চাইবেন কেন?
বিয়ে হতে দেরী হোক...
 
মনের মত দ্বীনদার কাওকে পেতে অনেক অপেক্ষা করুন
দোয়া করুন তবু যাকে তাকে বিয়ে করতে যাবেন না..
দ্বীনদার স্বামী পেয়েছেন এমন আপুরা এটাও বলেন যে
দ্বীনদার স্বামী কত ভালো হয় জানলে মেয়েরা তাদের পাওয়ার জন্যেও অন্তত দ্বীনদার হয়ে যাবার কথা'
নিজের দ্বীনদারীতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে অবশ্য ই।
নিজে তেমন ভালো না হলে ভালো কাওকে পাওয়া সহজ হবার আশা করাও যায়না....
_আর হুম বিয়ের ক্ষেত্রে ইস্তেখারার গুরুত্ব অপরিসীম।
এটা করতে ভুলা যাবেনা মোটেই...
 
প্রস্তাব আসলে ইস্তেখারা করে যদি মন সায় দেয় ওই ছেলেকে বিয়ে করতে তাইলেই শুধু হ্যা বলবেন।
নাইলে না! সে যত ভালো ই মনে হোক উপর দিয়ে।
অবশ্য এ ক্ষেত্রে কয়েকবার ইস্তেখারা করে দেখতে পারেন।
একটা ব্যাপার শুধু আমাদের মাথায় রাখা উচিত_
দুনিয়া চিরস্থায়ী কোন জায়গা না।
 
স্রেফ দুনিয়া পেয়ে সুখী হবার আশা করার মত বোকামি আমাদের করা মানায় না।
দুনিয়া আখেরাত উভয় জাহানেই সুখী হতে দুনিয়ায় স্বামী নির্বাচনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়াটাই আমাদের প্রকৃত দায়িত্ব।
 ====================== 00000 ========================
 
 
#প্রসঙ্গ:- বিয়ে সহজ হলে, সমাজ ৯০% সঠিক হয়ে যাবে!
.
#মূল_কথা:- আমি চেয়েছিলাম একটা পবিত্র সম্পর্ক মানে #বিয়ে
.
যেখানে চারিদিকে শুধু বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডের ছড়াছড়ি সেখানে এই অধমের আবদার ছিল বিয়ে করা।
.
এবং আমি মনে করেছিলাম এর মাধ্যমে আমার চোখের হেফাজত হবে, মনের প্রশান্তি পাবো।
.
তাই কোন ভণিতা না করে তোমাদেরকে সোজাসুজি বলেছিলাম "আমি বিয়ে করবো"।
.
কিন্তু এর পরই তোমাদের চোখে আমি হয়ে গেলাম #ভিলেন
.
বড়াপু বললেন লজ্জা সরম নাই, ছোটাপু এখনো বিয়ের বয়স হয় নাই।
আম্মা বললেন, 'বিয়ে করে বউরে কোথায় রাখবি? কি খাওয়াবি? আব্বু ইনডাইরেক্টলি বললেন এইসব সামাল দিতে পারবা না।
.
নানান জনের নানা কথা শুনে আমি হতাস হলাম।
.
২৫ বছরের একজন তরুণ বা যুবক যাই বলেন তার বিয়ের বয়স হয়নি। কিন্তু আমার মনের অবস্থা কেউ বুঝলেন না।
.
এই মনের সাথে জীবনের কঠিন সময়গুলোতে যুদ্ধ করে পার করে এসেছি। নিজেকে সকল অশ্লীলতা বেহায়াপনা থেকে আগলে রেখেছি।
.
আমার একটাই দোষ আমি চেয়েছিলাম একটা পবিত্র সম্পর্ক গড়ার(বিয়ে)। এজন্য অনেক কড়া কথা শুনতে হয়েছে। কারো কাছ থেকে কোন সান্তনার বাণী পাইনি। আমার মনের অবস্থা কেউ বুঝলো না।
.
একটা মেয়েকে ভালো লাগলো। বললাম ওর ফ্যামিলির সাথে আলাপ করো। তোমরা ঘটনার মোড় অন্যদিকে নেয়ার জন্য বা অন্য কোন কারনে হোক বললে যে, এই মেয়ে ভালো না, ফ্যামিলি ভালো না সমস্যা আছে। আচ্ছা বাবা ঠিক আছে মানলাম এই মেয়ে ভালো না। তোমাদের চয়েজ করা জৈনক অমুকের মেয়ে। বললাম কথা বলো, আলাপ করে রাখো। না,
. মেয়ে উড়াল দিয়ে যাচ্ছে না।
.
এতো তাড়াহুড়ো কিসের? আরো কত কিছু বললে আমায়। তখনও আমার মনের অবস্থা কেউ বুঝলে না।
.
আম্মু তুমি আরও আমাকে বললে, 'আমি কোরআন হাদিস পড়ি, আবার কি করে এমন কথা বলি?'
আমি বলি কি, কোরআন-হাদিস পড়ি বলেই তো আমি বলেছিলাম বিয়ের কথা।
.
না হলে অনেক আগেই ডুবে যেতাম খারাপ রাস্তায়।
.
এখনকার যুগের আমার বয়সী ছেলেরা যা করছে তা তোমরা কল্পনা করতে পারবে না।
. আল্লাহতালা আমাকে এরচেয়ে অনেক অনেক ভালো থাকার সুযোগ দিয়েছেন। (আলহামদুলিল্লাহ্)
তোমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি।
.অনেক টেনশনে ফেলেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিও।তোমরা যদি আমাকে ক্ষমা করে না দাও তাহলে আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করবেন না। তোমাদেরকে আর কোনদিন বলবো না 'আমি বিয়ে করতে চাই', আমি বিয়ে করব - এই ধরনের কথা।
.
বা এমন কিছু করবোনা যা তোমাদের সম্মানে বাধা দেয়।
.
আল্লাহতালা যেনো আমাকে ভালো রাখেন। তার রহম দিয়ে আমার এই দিলকে প্রশান্তিতে ভরে দেন।
.এই দোয়া চাই সবার কাছে।
 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url