স্বামী স্ত্রী : স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম (মেগা পোস্ট) | Husband and wife: Rules of intercourse between husband and wife (mega post)
স্বামী স্ত্রী নিয়ে হাদিস,কুরআনের আয়াত, এবং স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম ও ভালোবাসার গল্প
বিয়ের আগে ইবাদাহ চ্যানেল এর কিছু ভিডিও দেখে নিতে পারে।
আশা করি উপকার পাবেন।
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে হাদিস
ঘুমন্ত হলেও নিজ সন্তান বা অন্য কেউ কক্ষে থাকলে সঙ্গম করা উচিৎ নয়। তবে শিশু একান্ত অবোধ হলে ভিন্ন কথা।
প্রকাশ যে, মেয়েদের যৌন-মিলন না করার সাধারণ ধৈর্য-সীমা চার মাস। তাই
পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া এবং উভয়ের সম্মত চুক্তি ব্যতীত এর অধিক সময় বিরহে
কাটানো বৈধ নয়।[24]
সঙ্গমের পূর্বে নিম্নের দুআ পাঠ কর্তব্য;
بِسْمِ اللهِ، اَللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا.
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রাযাক্বতানা
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রাযাক্বতানা
অর্থাৎ, আমি আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আমাদের নিকট থেকে
শয়তানকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে যে সন্তান দান করবে তার নিকট থেকেও শয়তানকে
দূরে রাখ।
এই দুআ পাঠ করে সহবাস করলে উক্ত সহবাসের ফলে সৃষ্টি সন্তানের কোন ক্ষতি শয়তান করতে পারে না।[25]
প্রকাশ যে, শয়তানও মানুষের সন্তান-সন্ততিতে অংশগ্রহণ করে থাকে; যদি সঙ্গমের পূর্বে আল্লাহর নাম না নেওয়া হয় তাহলে।[26]
সঙ্গম বা বীর্যপাতের পর গোসল (মাথা শুদ্ধ সর্বশরীর ধোয়া) ফরয। তবে
নগ্নাবস্থায় স্বামী-স্ত্রী আলিঙ্গনাদি করলে, বীর্যপাত না হলে এবং মযী
(বীর্যের পূর্বে নির্গত আঠাল তরল পদার্থ) বের হলেও গোসল ফরয নয়। লজ্জাস্থান
ধুয়ে ওযু যথেষ্ট।
লিঙ্গাগ্র যোনী-মুখে প্রবেশ করালে বীর্যপাত না হলেও উভয়ের উপর গোসল ফরয।
অনুরূপ লিঙ্গাগ্র যোনীপথে প্রবেশ না করিয়েও যে কোন প্রকারে বীর্যপাত করলে
গোসল ফরয।[27]
স্ত্রীর ঊরু-মৈথুন করে বীর্যপাত করলে স্বামী গোসল করবে। স্ত্রী (বীর্যপাত না হলে) গোসল করবে না। ঊরু ধুয়ে ওযু যথেষ্ট।
- সম্পূর্ণ এবং দলিল সহ পুরো লেখাটি এখান থেকে নেওয়া Link → HadithBD
স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম :
জিজ্ঞাসা–৫৭৮: আসসালামু আলাইকুম। অনেক
বইতে দেখি সহবাসের সময় স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে দেখা জায়েজ নাই, এতে নাকি
স্বামীর চোখের জ্যোতি কমে যায়। আমি সহবাস সম্পর্কিত এ ধরণের সকল বিধি
নিষেধ, সকল মাসয়ালা মাসায়েল আর নিয়মগুলো জানতে চাচ্ছি। একেক জায়গায়
একেক ধরণের নিয়মকানুন দেখতেছি। আমি বুঝতেছি না আমি কোনটার উপর আমল করব?
জানালে উপকৃত হব, ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক। –নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
এক. স্ত্রী সহবাসের সময় যেসব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত, সংক্ষেপে তা নিম্নে পেশ করা হল-
১- নিয়ত খালেস করে নেয়া। অর্থাৎ,
কাজটির মাধ্যমে নিজেকে হারাম পথ থেকে বিরত রাখার, মুসলিম উম্মাহর সংখ্যা
বৃদ্ধি করার এবং সাওয়াব অর্জনের নিয়ত করা। এ মর্মে আবু যার রাযি. থেকে
বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে,
স্বামী স্ত্রী : স্বামী স্ত্রী নিয়ে হাদিস,কুরআনের আয়াত,সম্পর্ক এবং স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম (মেগা পোস্ট)
স্বামী স্ত্রী নিয়ে হাদিস,কুরআনের আয়াত, এবং স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম ও ভালোবাসার গল্প
স্বামী স্ত্রী হাদিস
ঘুমন্ত হলেও নিজ সন্তান বা অন্য কেউ কক্ষে থাকলে সঙ্গম করা উচিৎ নয়। তবে শিশু একান্ত অবোধ হলে ভিন্ন কথা।
প্রকাশ যে, মেয়েদের যৌন-মিলন না করার সাধারণ ধৈর্য-সীমা চার মাস। তাই
পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া এবং উভয়ের সম্মত চুক্তি ব্যতীত এর অধিক সময় বিরহে
কাটানো বৈধ নয়।[24]
সঙ্গমের পূর্বে নিম্নের দুআ পাঠ কর্তব্য;
بِسْمِ اللهِ، اَللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا.
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রাযাক্বতানা
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রাযাক্বতানা
অর্থাৎ, আমি আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আমাদের নিকট থেকে
শয়তানকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে যে সন্তান দান করবে তার নিকট থেকেও শয়তানকে
দূরে রাখ।
এই দুআ পাঠ করে সহবাস করলে উক্ত সহবাসের ফলে সৃষ্টি সন্তানের কোন ক্ষতি শয়তান করতে পারে না।[25]
প্রকাশ যে, শয়তানও মানুষের সন্তান-সন্ততিতে অংশগ্রহণ করে থাকে; যদি সঙ্গমের পূর্বে আল্লাহর নাম না নেওয়া হয় তাহলে।[26]
সঙ্গম বা বীর্যপাতের পর গোসল (মাথা শুদ্ধ সর্বশরীর ধোয়া) ফরয। তবে
নগ্নাবস্থায় স্বামী-স্ত্রী আলিঙ্গনাদি করলে, বীর্যপাত না হলে এবং মযী
(বীর্যের পূর্বে নির্গত আঠাল তরল পদার্থ) বের হলেও গোসল ফরয নয়। লজ্জাস্থান
ধুয়ে ওযু যথেষ্ট।
লিঙ্গাগ্র যোনী-মুখে প্রবেশ করালে বীর্যপাত না হলেও উভয়ের উপর গোসল ফরয।
অনুরূপ লিঙ্গাগ্র যোনীপথে প্রবেশ না করিয়েও যে কোন প্রকারে বীর্যপাত করলে
গোসল ফরয।[27]
স্ত্রীর ঊরু-মৈথুন করে বীর্যপাত করলে স্বামী গোসল করবে। স্ত্রী (বীর্যপাত না হলে) গোসল করবে না। ঊরু ধুয়ে ওযু যথেষ্ট।
স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম
জিজ্ঞাসা–৫৭৮: আসসালামু আলাইকুম। অনেক
বইতে দেখি সহবাসের সময় স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে দেখা জায়েজ নাই, এতে নাকি
স্বামীর চোখের জ্যোতি কমে যায়। আমি সহবাস সম্পর্কিত এ ধরণের সকল বিধি
নিষেধ, সকল মাসয়ালা মাসায়েল আর নিয়মগুলো জানতে চাচ্ছি। একেক জায়গায়
একেক ধরণের নিয়মকানুন দেখতেছি। আমি বুঝতেছি না আমি কোনটার উপর আমল করব?
জানালে উপকৃত হব, ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক। –নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
এক. স্ত্রী সহবাসের সময় যেসব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত, সংক্ষেপে তা নিম্নে পেশ করা হল-
১- নিয়ত খালেস করে নেয়া। অর্থাৎ,
কাজটির মাধ্যমে নিজেকে হারাম পথ থেকে বিরত রাখার, মুসলিম উম্মাহর সংখ্যা
বৃদ্ধি করার এবং সাওয়াব অর্জনের নিয়ত করা। এ মর্মে আবু যার রাযি. থেকে
বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে,
وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ .
قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ
لَهُ فِيهَا أَجْرٌ؟ قَالَ : أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي حَرَامٍ
أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلاَلِ
كَانَ لَهُ أَجْرٌ
স্ত্রী সহবাসও সদকা। তারা বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ! কেউ যদিস্ত্রী সহবাস এতেও কি সে সাওয়াব পাবে? তিনি বললেন,
তোমরা কি মনে কর যদি সে কামাচার করে হারাম পথে তাতে কি তার গুনাহ হবে না?
অনুরূপভাবে যদি সে কামাচার করে হালাল পথে তবে সে সাওয়াব পাবে। (মুসলিম
২২০১)
২- সহবাসের সময় শৃঙ্গার তথা চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদি করা। হাদিসে এসেছে,
كان رسول الله ﷺ يُلاعبُ أهله ، ويُقَبلُها
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন। (যাদুল মা’আদ ৪/২৫৩)
স্বামী স্ত্রীর মিলন হাদিস
৩- সহবাসের শুরু করার সময় দোয়া পড়া–
بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ!
আমাদেরকে তুমি শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে তুমি যা দান করবে (মিলনের
ফলে যে সন্তান দান করবে) তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখ।’
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এরপরে যদি তাদের
দু’জনের মাঝে কিছু ফল দেয়া হয় অথবা বাচ্চা পয়দা হয়, তাকে শয়তান কখনো ক্ষতি
করতে পারবে না। (বুখারী ৪৭৮৭)
৪- যেকোনো আসনে স্ত্রী সহবাসের অনুমতি ইসলামে আছে।
মুজাহিদ রহ. نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ
شِئْتُمْ (তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই
ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর।)-এই আয়াতের তফসিরে বলেন, قَائِمَةً
وَقَاعِدَةً وَمُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً فِي الْفَرْجِ ‘দাঁড়ানো ও বসা
অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের দিক থেকে (সঙ্গম করতে পারো, তবে তা
হতে হবে) স্ত্রীর যোনিপথে।’ ( দুররে মানছুর ১/২৬৫ তাফসীর তাবারী ২/৩৮৭-৩৮৮
মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৪/২৩২)
৫- মলদ্বারে সহবাস হারাম। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لا يَنْظُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى رَجُلٍ جَامَعَ امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করে, আল্লাহ্ তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকান না। (ইবন মাজাহ ১৯২৩)
৬-ঋতুবতী অবস্থায় সহবাস হারাম।
কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِي
دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا
أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ
যে ব্যাক্তি ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস
করলো অথবা স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করলো অথবা গণকের নিকট গেলো এবং সে যা
বললো তা বিশ্বাস করলো, সে অবশ্যই মুহাম্মাদ ﷺ -এর উপর নাযিলকৃত জিনিসের
(আল্লাহ্র কিতাবের) বিরুদ্ধাচরণ করলো। (তিরমিযী ১৩৫ আবূ দাঊদ ৩৯০৪)
৭- একবার সহবাসের পর পুনরায় সহবাস করতে চাইলে অজু করে নেয়া মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَعُودَ فَلْيَتَوَضَّأْ بَيْنَهُمَا وُضُوءًافإنه أنشط للعود
যখন তোমাদের কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস
করার পর আবার সহবাস করতে চায় তখন সে যেন এর মাঝখানে ওযু করে নেয়। কেননা,
এটি দ্বিতীয়বারের জন্য অধিক প্রশান্তিদায়ক। (মুসলিম ৩০৮ হাকিম ১/২৫৪)
তবে গোসল করে নেয়া আরো উত্তম। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, هَذَا
أَزْكَى وَأَطْيَبُ وَأَطْهَرُ এরূপ করা অধিকতর পবিত্র, উত্তম ও উৎকৃষ্ট। (
আবু দাউদ ২১৯)
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক
একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কখন পাগলের মত ভালবাসে?.
এক বৃদ্ধার সাক্ষাৎকার। যিনি তাঁর স্বামীর সাথে
সফলতার সাথে কাটিয়ে দিলেন দীর্ঘ পঞ্চাশটি
বছর। তাদের জীবন শান্তিতে ভরপুর ছিল।
ঝগড়া তো দুরের কথা, দাম্পত্য জীবনে কখনো কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হয়নি। একজন সাংবাদিক এই বৃদ্ধার কাছে তার পঞ্চাশ বছরের স্থায়ী সফলতা রহস্যের ব্যপারে জানতে চাইলেন।
.
-কি ছিল সে রহস্য? মজার মজার খাবার বানানো?
দৈহিক সৌন্দর্য? বেশী সন্তান জন্ম দেয়া? নাকি
অন্যকিছু?
.
বৃদ্ধা বললেন, দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি প্রথমত আল্লাহর ইচ্ছা অতপর স্ত্রীর হাতেই। একজন স্ত্রী চাইলে তার ঘরটাকে জান্নাতের টুকরো বানাতে পারেন আবার চাইলে এটাকে জাহান্নামেও পরিনত করতে পারেন।
.
-কিভাবে? অর্থ দিয়ে?
-তা তো হতে পারে না। কেননা অনেক অর্থশালী
মহিলা আছেন, যাদের জীবনে দুঃখ-দুর্দশার শেষ
নেই, যাদের স্বামী তাদের কাছেই ভিড়তে চাননা।
.
-সন্তান জন্ম দান?
-না, তাও নয়। কারন, অনেক মহিলা আছেন, যাদের
অনেক সন্তান আছে, অথচ স্বামী পছন্দ করেন না।
এমনকি এ অবস্থায় তালাক দেওয়ার নজির কম নয়।
.
-ভাল খাবার বানানো?
-এটাও না, কারণ অনেক মহিলা আছেন, যারা রান্না
বান্নায় বেশ দক্ষ, সারা দিন রান্না ঘরে কাজ করে,
অথচ স্বামীর দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হন।
.
তার কথায় সাংবাদিক বিস্মিত হয়ে গেলেন,
বললেন,তাহলে আসল রহস্যটা কি?
বৃদ্ধা বললেন, যখনই আমার স্বামী রেগে গিয়ে
আমাকে বকাবকি করতেন, আমি অত্যন্ত সম্মান
দেখিয়ে নিরবতা অবলম্বন করতাম এবং অনুতপ্ত হয়ে
মাথা দুলিয়ে তার প্রতিটি কথায় সায় দিতাম।
সাবধান! বিদ্রুপের দৃষ্টিতে কখনো চুপ হয়ে থেকো
না, কেননা পুরুষ মানুষ বিচক্ষণ হয়ে থাকে, এটা
সহজেই বুঝতে পারে।
.
সাংবাদিক: ঐ সময় আপনি ঘর থেকে বের হয়ে যান
না কেন?
-বৃদ্ধা: সাবধান! সেটা কখনো করবেন:না।
তখন তিনি মনে করবেন, আপনি তাঁর কথায় বিরক্ত হয়ে পালাতে চাচ্ছেন।আপনার উচিত, চুপ থেকে ওর প্রতিটি কথায় হা সুচক সায় দেওয়া, যতক্ষণ না তিনি শান্ত হন। অতপর আমি তাকে বলি, আপনার শেষ হয়েছে? এবার আমি যেতে পারি? তারপর আমি চলে যাই, আর আপন কাজে লেগে যাই। কারন চিৎকার করে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন,তার বিশ্রাম প্রয়োজন।
.
সাংবাদিক: এরপর কি করেন? এক সপ্তাহ খানেক
তার থেকে দূরে থাকেন, এবং কথা বলা বন্ধ রাখেন
নিশ্চয়?
বৃদ্ধা: সাবধান! এ ধরনের বদভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।
যা দুধারা তরবারির চেয়েও মারাত্মক। স্বামী যখন
আপনার সাথে আপোষ করতে চান তখন যদি আপনি তার কাছে না যান, তখন তিনি একা থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। কখনো কখনো এ অবস্থাতাকে প্রচন্ড জিদের দিকে ঠেলেদেবে।
.
সাংবাদিক: তাহলে কি করবেন তখন?
বৃদ্ধা: দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস দুধ বা এক কাপ গরম চা
নিয়ে তার কাছে যাই,আর বলি, নিন, এগুলো খেয়ে
নিন,আপনি খুব ক্লান্ত। এসময় তার সাথে অত্যন্ত
স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলি? তারপর তিনি বলেন,
রাগ করেছো? আমি বলি, না।তারপর, তার দূর্ব্যবহারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্নেহ ও ভালবাসার কথা বলেন।
.
সাংবাদিক: আপনি কি তার কথা তখন বিশ্বাস
করেন?
বৃদ্ধা: অবশ্যই। কেন নয়? শান্ত থাকা অবস্থায় যা
বলেন তা বিশ্বাস না করে, রাগান্বিত অবস্থায় যা
বলেনতা বিশ্বাস করব?
.
সাংবাদিক: তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব?
বৃদ্ধা: আমার স্বামীর সন্তুষ্টিই আমার ব্যক্তিত্ব।
আমাদের স্বচ্ছ সম্পর্কই আমাদের ব্যক্তিত্ব। আর
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন ব্যক্তিত্ব থাকেনা। যার
সামনে তুমি পুরোপুরি ভাবে বস্ত্রমুক্ত হয়েছ, তার
কাছে কিসের ব্যক্তিত্ব?
.
.
ধন্য তুমি হে নারী! যদি তোমাকে বানানো হয়েছে প্রিয়তমা স্ত্রী, মমতাময়ী মা, ধরনীর বুকে পুরুষের সর্বোত্তম নেয়ামত। তুমি যদি মহান রবের অতি মহত সৃষ্টি না হতে, তাহলে তোমাকে জান্নাতের হুর বানানো হতো
না, যা আল্লাহ তার অতি প্রিয় বান্দাদের দান
করবেন পুরস্কার হিসেবে।
.
ধন্য তুমি হে নারী! শৈশবে
পিতার জান্নাতের প্রবেশদ্বার, তারুণ্যে স্বামীর
দ্বীনের পরিপূরক, মাতৃত্ব
জান্নাত হবে তোমার পায়ের নীচে!
এক বৃদ্ধার সাক্ষাৎকার। যিনি তাঁর স্বামীর সাথে
সফলতার সাথে কাটিয়ে দিলেন দীর্ঘ পঞ্চাশটি
বছর। তাদের জীবন শান্তিতে ভরপুর ছিল।
ঝগড়া তো দুরের কথা, দাম্পত্য জীবনে কখনো কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হয়নি। একজন সাংবাদিক এই বৃদ্ধার কাছে তার পঞ্চাশ বছরের স্থায়ী সফলতা রহস্যের ব্যপারে জানতে চাইলেন।
.
-কি ছিল সে রহস্য? মজার মজার খাবার বানানো?
দৈহিক সৌন্দর্য? বেশী সন্তান জন্ম দেয়া? নাকি
অন্যকিছু?
.
বৃদ্ধা বললেন, দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি প্রথমত আল্লাহর ইচ্ছা অতপর স্ত্রীর হাতেই। একজন স্ত্রী চাইলে তার ঘরটাকে জান্নাতের টুকরো বানাতে পারেন আবার চাইলে এটাকে জাহান্নামেও পরিনত করতে পারেন।
.
-কিভাবে? অর্থ দিয়ে?
-তা তো হতে পারে না। কেননা অনেক অর্থশালী
মহিলা আছেন, যাদের জীবনে দুঃখ-দুর্দশার শেষ
নেই, যাদের স্বামী তাদের কাছেই ভিড়তে চাননা।
.
-সন্তান জন্ম দান?
-না, তাও নয়। কারন, অনেক মহিলা আছেন, যাদের
অনেক সন্তান আছে, অথচ স্বামী পছন্দ করেন না।
এমনকি এ অবস্থায় তালাক দেওয়ার নজির কম নয়।
.
-ভাল খাবার বানানো?
-এটাও না, কারণ অনেক মহিলা আছেন, যারা রান্না
বান্নায় বেশ দক্ষ, সারা দিন রান্না ঘরে কাজ করে,
অথচ স্বামীর দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হন।
.
তার কথায় সাংবাদিক বিস্মিত হয়ে গেলেন,
বললেন,তাহলে আসল রহস্যটা কি?
বৃদ্ধা বললেন, যখনই আমার স্বামী রেগে গিয়ে
আমাকে বকাবকি করতেন, আমি অত্যন্ত সম্মান
দেখিয়ে নিরবতা অবলম্বন করতাম এবং অনুতপ্ত হয়ে
মাথা দুলিয়ে তার প্রতিটি কথায় সায় দিতাম।
সাবধান! বিদ্রুপের দৃষ্টিতে কখনো চুপ হয়ে থেকো
না, কেননা পুরুষ মানুষ বিচক্ষণ হয়ে থাকে, এটা
সহজেই বুঝতে পারে।
.
সাংবাদিক: ঐ সময় আপনি ঘর থেকে বের হয়ে যান
না কেন?
-বৃদ্ধা: সাবধান! সেটা কখনো করবেন:না।
তখন তিনি মনে করবেন, আপনি তাঁর কথায় বিরক্ত হয়ে পালাতে চাচ্ছেন।আপনার উচিত, চুপ থেকে ওর প্রতিটি কথায় হা সুচক সায় দেওয়া, যতক্ষণ না তিনি শান্ত হন। অতপর আমি তাকে বলি, আপনার শেষ হয়েছে? এবার আমি যেতে পারি? তারপর আমি চলে যাই, আর আপন কাজে লেগে যাই। কারন চিৎকার করে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন,তার বিশ্রাম প্রয়োজন।
.
সাংবাদিক: এরপর কি করেন? এক সপ্তাহ খানেক
তার থেকে দূরে থাকেন, এবং কথা বলা বন্ধ রাখেন
নিশ্চয়?
বৃদ্ধা: সাবধান! এ ধরনের বদভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।
যা দুধারা তরবারির চেয়েও মারাত্মক। স্বামী যখন
আপনার সাথে আপোষ করতে চান তখন যদি আপনি তার কাছে না যান, তখন তিনি একা থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। কখনো কখনো এ অবস্থাতাকে প্রচন্ড জিদের দিকে ঠেলেদেবে।
.
সাংবাদিক: তাহলে কি করবেন তখন?
বৃদ্ধা: দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস দুধ বা এক কাপ গরম চা
নিয়ে তার কাছে যাই,আর বলি, নিন, এগুলো খেয়ে
নিন,আপনি খুব ক্লান্ত। এসময় তার সাথে অত্যন্ত
স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলি? তারপর তিনি বলেন,
রাগ করেছো? আমি বলি, না।তারপর, তার দূর্ব্যবহারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্নেহ ও ভালবাসার কথা বলেন।
.
সাংবাদিক: আপনি কি তার কথা তখন বিশ্বাস
করেন?
বৃদ্ধা: অবশ্যই। কেন নয়? শান্ত থাকা অবস্থায় যা
বলেন তা বিশ্বাস না করে, রাগান্বিত অবস্থায় যা
বলেনতা বিশ্বাস করব?
.
সাংবাদিক: তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব?
বৃদ্ধা: আমার স্বামীর সন্তুষ্টিই আমার ব্যক্তিত্ব।
আমাদের স্বচ্ছ সম্পর্কই আমাদের ব্যক্তিত্ব। আর
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন ব্যক্তিত্ব থাকেনা। যার
সামনে তুমি পুরোপুরি ভাবে বস্ত্রমুক্ত হয়েছ, তার
কাছে কিসের ব্যক্তিত্ব?
.
.
ধন্য তুমি হে নারী! যদি তোমাকে বানানো হয়েছে প্রিয়তমা স্ত্রী, মমতাময়ী মা, ধরনীর বুকে পুরুষের সর্বোত্তম নেয়ামত। তুমি যদি মহান রবের অতি মহত সৃষ্টি না হতে, তাহলে তোমাকে জান্নাতের হুর বানানো হতো
না, যা আল্লাহ তার অতি প্রিয় বান্দাদের দান
করবেন পুরস্কার হিসেবে।
.
ধন্য তুমি হে নারী! শৈশবে
পিতার জান্নাতের প্রবেশদ্বার, তারুণ্যে স্বামীর
দ্বীনের পরিপূরক, মাতৃত্ব
জান্নাত হবে তোমার পায়ের নীচে!