===

স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত ও মহানবী (সাঃ) এর বানী 6 Things Men Like In Women More Than Good Looks



স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত : বিবাহ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একটি সুদৃঢ় বন্ধন। আল্লাহ তাআলা এর চির স্থায়িত্ব পছন্দ করেন, বিচ্ছেদ অপছন্দ করেন। এরশাদ হচ্ছে: ‘তোমরা কীভাবে তা (মোহরানা) ফেরত নিবে ? অথচ তোমরা পরস্পর শয়ন সঙ্গী হয়েছ এবং তোমাদের নিকট সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে।’[নিসা : ২১]

এ চুক্তিপত্র ও মোহরানার কারণে ইসলাম স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে কতক দায়দায়িত্ব ও অধিকার নিশ্চিত করেছে। যা বাস্তবায়নের ফলে দাম্পত্য জীবন সুখী ও স্থায়ী হবে—সন্দেহ নেই। সে সব অধিকারের প্রায় সবগুলোই সংক্ষেপ আকারে বর্ণিত হয়েছে কোরআনের আয়াতে:>যেমন নারীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমন তাদের জন্যও অধিকার রয়েছে ন্যায্য-যুক্তিসংগত ও নীতি অনুসারে। তবে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব পুরুষদের। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [বাকারা : ২২৭]


স্ত্রী সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) এর বানীঃহযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ 
গোটা দুনিয়াই
সম্পদে পরিপূর্ণ। এর
মধ্যে সবচেয়ে উত্তম সম্পদ
হলো পূর্ণবতী স্ত্রী। (মুসলিম)

হযরত আবু হুরাইয়া (রাঃ) বলেন,
রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ
করেনঃ যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ
সবচাইতে উত্তম, ঈমাদের
দৃষ্টিতে সে-ই পূর্ণাঙ্গ মুমিন।
তোমাদের মধ্যে সেই সব লোক উত্তম,
যারা তাদের স্ত্রীদের
কাছে উত্তম। তিরমিযী)

হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) এর
বর্ণনা মতে, রাসুলে আকরাম (সাঃ)
বলেনঃ কোন স্ত্রী লোক যদি এমন
অবস্থায় মারা যায় যে, তার
স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট,
তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
তিরমিযী)

হযরত আবু হুরাইয়া (রাঃ) এর
বর্ণনা মনে, রাসুলে আকরাম (সাঃ)
বলেনঃ আমি যদি কোন
ব্যক্তিকে অপর কোন ব্যক্তির
সামনে সিজদা করার জন্য নির্দেশ
দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ
দিতাম তার
স্বামীকে সিজদা করার জন্য।
(তিরমিযী)

হযরম মু’য়াজ ইবনে জাবাল (রাঃ) এর
বর্ণনা মতে, রাসুলে আকরাম (সাঃ)
বলেনঃ যখনই কোন নারী তার
স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট
দিতে থাকে, তখনই (জান্নাতের)
আয়াতলোচনা হুরদের মধ্যে তার
সম্ভাব্য
স্ত্রী বলেঃ (হে অভাগিনী!)
তুমি তাকে কষ্ট দিওনা। আল্লাহ
তোমায় ধ্বংস করুক! তিনি তোমার
কাছে একজন মেহমান। অচিরেই
তিনি তোমাকে ছেড়ে আমাদের
কাছে চলে আসবেন। (তিরমিযী)

উসামা ইবনে যায়েদ বর্ণনা করেন,
রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ আমারঅনুপস্থিতে আমি পুরুষদের জন্য
মেয়েদের চাইতে বেশী ক্ষতিকর
ফিতনা (বিপর্যয়) আর রেখে যাইনি।
(বুখারী ও মুসলিম) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদকরেনঃ কোনো ব্যক্তি যদি তার বিছানায় স্বীয় স্ত্রীকে ডাকে; , sans-serif">কিন্তু>স্ত্রী তাতে সাড়া না দেয়ায়স্বামী তার উপর অসস্তুষ্ট হয়ে রাত
কাটায়, তাহলে ফেরেশতারা ভোরপর্যন্ত তার প্রতি অভিশাপ বর্ষণ<>করতে থাকে । (বুখারী ও মুসলিম) , >হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন,
স্বামী বাড়ীতে উপস্থিত
থাকা অবস্থায় তার
অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর পক্ষে (নফল)

রোযা রাখা বৈধ নয় । তার অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তিকে তার
ঘরে ঢোকার অনুমতি দেয়াও তার
(স্ত্রীর) জন্য বৈধ নয়। (বুখারী ও মুসলিম) 
উপরোক্ত হাদিসগুলো রিয়াদুস সালেহীন বই থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। (পৃষ্টা নং ১৮৯)পবিত্র কোরআন ও হাদিস এর বাণী স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প :আপনার স্ত্রী কে 'সময়' গিফট করুন..



সময়: - ক্ষেত্রবিশেষে অনেক বড় একটা গিফট। >'আজ সারাদিন কাজের বেশ চাপ ছিল, এখন আমি টায়ার্ড। এখন একবারেই কানের কাছে ক্যান ক্যান করবানা' — দিনশেষে ঘরে ফিরে হয়ত এটাই হয় স্ত্রীর উদ্দেশ্যে আপনার আমার প্রথম কথা।

তারপর হয়ত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বা খবরের কাগজটা হাতে নেন, অথবা টিভি ছেড়ে রিমোট নিয়ে বসেন। অথবা ফেসবুকটা লগিন করে বসে যান। বিশ্বাস করুন এমন রুটিন মোটেও হওয়া উচিত নয়। এভাবে নিজেই আপনি নিজ হাতে আপনার দাম্পত্য জীবন টা কে ধ্বংস করছেন।
এমন হওয়া উচিত ছিল যে- আপনি ঘরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে একটু আপনার স্ত্রী এর সাথে একাকী বসবেন, টিভির রিমোট নয় বরং তার হাতটা ধরে সারাদিনের খবরা খবর জিজ্ঞাসা করবেন, তার অভিযোগ গুলো শুনবেন, মোবাইল নয় বরং তাকে মনযোগ দিবেন।
দেশের খবর বা খেলার খবর কিংবা নীল সম্রাজ্যে (ফেসবুকে) কে কী করল তার খবর রাখার থেকে আপনার রাব্বাতুল বাইতের (ঘরের রানী) খবর রাখা আপনার জন্য বেশি জরুরী এবং ফরজ।
সে আপনার অনুপস্থিতিতে সারাদিন আপনার ঘর, আপনাদের সন্তান কে আগলিয়ে রেখেছেন, সন্তানকে স্কুলে নিয়ে গিয়েছেন, আপনার জন্য রান্না করেছেন, আপনি এসে শোবেন বলেই বিছানা টা গুছিয়ে রেখেছেন এভাবে আপনার অনেক হক আদায় করেছেন যেগুলোর অনেক কিছু করতেই তিনি বাধ্য নন বা তার উপর ফরজ করা হয়নি। সন্তান থাকলেও আপনার স্ত্রীকে আলাদা ভাবে সময় দিন প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সময়। শুধু আপনি আর আপনার স্ত্রী। আর কেউ না।
.
যদি অভিযোগও করে তেল নাই, লবণ নাই, কারেন্ট বিল দেওয়া বাকী হ্যান ত্যান তাও মনযোগ দিয়ে শুনুন। একটা হাসি দিন৷ সেই লজ্জা পাবে। 'শুধু আমি বলেই তোমার সাথে সংসার করে গেলাম' — এটা আমাদের সবার স্ত্রীদের ডিফল্ট সেটিংস। এসবে কিছু মনে করা যাবে না।
প্রত্যেক মানুষ চান তার অভিযোগ অভিমান শোনার মত কেউ থাকুক৷ আর মানুষ যাকে সব থেকে বেশি ভালবাসেন তার উপরেই বেশি অভিযোগ করেন, বেশি অভিমান দেখান।
.
আপনিই শুনুন তার অভিযোগ গুলো, এভেন সেগুলো আপনার বিপক্ষে গেলেও। কারন আপনি সু্যোগ না দিলে শয়তান তাকে ওয়াসা দিয়ে হয়ত বাইরের কারো কাছে অভিযোগ গুলো শেয়ার করাবে। এতে আপনার ও তার উভয়েরই ক্ষতি।
.
এখন কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই বিবাহিত ভাইদের উদ্দেশ্যে। আমার প্রশ্নগুলো বোনদের পক্ষ থেকে নয় বরং একজন সাংসারিক পুরুষ হিসেবে অপর সাংসারিক পুরুষদের উদ্দেশ্যে।
— আপনি শেষ কবে আপনার স্ত্রীর জন্য উপহার হাতে ঘরে ঢুকেছিলেন তাকে চমকে দেবার জন্য? শেষ সারপ্রাইজ কবে দিয়েছেন?
-.
-— শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীর জন্য অন্তত কিছু একটা নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন, একদম নিজ থেকেই, তার কোন আবদার ছাড়াই? হোক না তা ২ টাকার একটা চকলেট বা ৫ টাকার মুড়ি ভাজা!
— শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে নিয়ে শপিং এ গিয়েছেন যেখানে আপনার স্ত্রী কেনাকাটার জিনিস বাছাই করতে করতে আপনার মতামত চাইছিল আর আপনি বলছিলেন, "এটা না, ওটা নাও..."? কিংবা তোমাকে এটা না ওটাতে বেশি সুন্দর লাগবে।
— শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে বিনা আবদারে বাইরে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন? সামর্থ্যের মধ্যেই একটু খানি লং ট্যুরে?.— আপনি দরিদ্র হলে শেষ কবে কাজ থেকে ফিরে বাসায় গিয়েই তাকে নিয়ে বেরিয়ে ২০ টাকার হলেও চপ পেয়াজু খেয়েছেন বা ফুচকা খেতে খেতে আড্ডা দিয়েছেন?
"arial" , sans-serif" style="color: #1c1e21;">— শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে পাশের দোকান থেকে কিছু একটা কিনে দিয়েছিলেন - অন্তত একটা আইসক্রিম?
শেষ কবে তাকে ফুল দিয়েছেন?
— আপনার স্ত্রী কোন কসমেটিক্স ব্যবহার করেন তার নাম কেউ বলতে পারবেন? তাকে শেষ কবে নিজে থেকে কসমেটিক্স কিনে দিয়েছেন? সে তো আপনার জন্যই সুন্দর থাকতে চায়।

-একটু মনে করুন...

-আফসোসের সাথে সত্যতা স্বীকার করি আমাদের অধিকাংশ ছেলেরই উত্তর গুলো মনে করতে একটু সময় লাগবে। একটু মনে করে দেখতে হবে।
-.
-আপনার স্ত্রী আপনার থেকে বেশি কিছু চান না, আপনার প্রতি তার আবদারগুলো হয়ত খুবই সীমিত (অবশ্য এটাও ঠিক যে সব স্ত্রীর আবদারই সীমিত নয় এখানে শুধু দ্বীনি স্ত্রীদের চাহিদা ফোকাস করছি)

-আপনার কাছে আপনার স্ত্রী যা চান তা হলো - আপনার সময়, তার প্রতি আপনার আর একটু বেশি মনোযোগ।
-.
-খুব কি বেশি এই চাওয়াটুকু?
-.
--স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা পবিত্রময়, মধুর হোক এ ভালবাসা। বর্তমানে যুবক যুবতীদের অবস্থা হল, তারা পাপাচার করেও পরিতৃপ্ত হচ্ছে না বরং পাপাচারের নিত্য-নতুন পদ্ধতি খুঁজে বেড়াচ্ছে। একদল যুবক যখন নতুন নতুন পাপের মাধ্যমে একদিনে একাধিক বার মহান আল্লাহকে ক্রোধান্বিত করে তুলছে, অন্যদিকে আরেকদল যুবক এই পাপাচার থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত নফসের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে!
-.
-দ্বীনের পথে অটল থাকার পাশাপাশি হারাম রিলেশন থেকে বেচে থাকার জন্য বিবাহের কোন বিকল্প নেই! কিন্তু আমরা সবচেয়ে বেশি ভুল করি বিয়ে করার ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বাচনে, যার খেসারত সারা জীবন দিতে হয় অভিভাবকের হরেক রকমের চাহিদার জাঁতাকলে চাপা পড়ে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বিয়ে করে নিলেও পরবর্তীতে বনিবনা না হওয়ার কারণে অহরহ তালাক হচ্ছে!
-.
-তাই ভাইদেরকে বলবো "কেমন সন্তান আপনি দুনিয়াতে রেখে যেতে চান প্রথমে এটা ঠিক করুন। তাহলে সন্তানের মা নির্বাচন করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে"! অর্থাৎ যেরকম মা দিবেন, সেরকম সন্তান পাবেন! আপনি মাদারগাছ রোপন করে খেজুর খাওয়ার আশা করা মানেই অরোণ্যরোদন!
-মনে রাখবেন একটি খামখেয়ালিপনা সারা জীবন,কবর, আখিরাতের কান্না!বিয়ের ক্ষেত্রে করনীয় ও বর্জনীয়ঃ
-
-(ক) উচ্চশিক্ষা:
-উচ্চশিক্ষিতা স্ত্রীদের অধিকাংশই স্বামীদের মুল্যায়ন করেনা! এত পড়ালেখা করার পরেও স্বামীর সংসারে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখাকে অনেকটা জেলখানার মত মনে করে! যার ফলে সংসার জীবনে পর্দাপন করলেও চাকুরীর নেশাটা কাটে না! এখন কথা হচ্ছে আপনি তো আর আপনার স্ত্রীর কামাই খাবেন না অথবা তার উপর নির্ভরশীল নন, তাই আপনার স্ত্রীর শিক্ষাগত ডিগ্রী আপনার কাজে আসবে না!
-.
-অনেকেই বলে থাকেন, বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য শিক্ষিত মেয়ে দরকার! আমি তাদের জিজ্ঞেস করি, বাচ্চাকে পড়াতে হলে কি মাস্টার্স পাশ মা লাগবে? আপনার বুঝা উচিত হাইস্কুলেও মাস্টার্স পাশ টীচার অপ্রতুল! মুল কথা হচ্ছে, স্ত্রীর ডিগ্রী আপনাকে সুখী করবে না! আপনার অভিভাবক হয়ত ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ক্যাডার পুত্রবধূ পেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর ফেলতে পারেন কিন্তু বিশ্বাস করুন ওতে প্রকৃত সুখ নেই বরং হাজারটা উদাহরণ পাবেন এগুলোই (উচ্চশিক্ষা,ডিগ্রী,অত:পর চাকুরী) অশান্তির কারণ হয়েছে!
-.
-.
-(খ) বংশঃ

-বংশ ভাল হওয়া আবশ্যক! কিন্তু বংশ মানে এই নয় যে,তা খান-চৌধুরী এজাতীয় কিছু হতেই হবে! দাদা ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন কিনা, বাবা সিএসপি অফিসার ছিলেন কি না, চৌদ্দ গুষ্ঠি পাঠান কি না, আত্মীয়দের দুনিয়াবী যোগ্যতা কেমন ইত্যাদি বংশ দেখার প্যারামিটার না! বংশ দেখার মিটার হল দ্বীন। আপনি পাত্রীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের দ্বীনদারিত্ব দেখুন, তাদের খান্দানে দ্বীনী মেজাজ আছে কিনা, ধরে নিতে পারেন মেয়ের মাঝেও দ্বীনের পাবন্দি আছে। দুই তিন পুরুষ আলিম বা আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে আলিম/দ্বীনের বুঝসম্পন্ন লোক আছে কিনা , এগুলো দেখার বিষয়! তবে এটা জাস্ট ধারণার জন্য!
-.
-.
-(গ) সৌন্দর্যঃ
-রূপ একটা ভাইটাল বিষয়! যেহেতু আপনি ভিবিন্ন আজেবাজে ফিল্মে আসক্ত নন অথবা নজরের খিয়ানত করেন নি তাই স্ত্রী সুন্দরী হলে এটা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট! কারণ, আপনার ঘরেই চাঁদ আছে, তাই বিয়ের পরে রাস্তায় মোমবাতি দেখার আগ্রহ কমে যাবে! তবে এটা আপনাকে ক্ষণিক তৃপ্তি দিতে পারলেও কিন্তু চোখের শীতলতা এর মাঝে নেই, যদি স্ত্রী বেদ্বীন হয়! আল্লাহ না করুন, বউয়ের আগুনঝরা রূপ লাবণ্যই হয়ত আপনার বরবাদির কারণ হতে পারে। চিন্তা করুনতো, বিয়ে করলেন আপনি অথচ কিছুদিন পরে পালিয়ে গেল অন্য কারো সাথে, সেটা আপনার জন্য কতটা লজ্জাজনক!
-.
-তাই আল্লাহভীরু নারী কালো হলেও সুশ্রী নারী থেকে হাজার গুণ উত্তম! তবে একসাথে যদি দুইটাই পেয়ে যান তাহলে তো আপনার 'চাঁন কপাল'!
-.
-.
(ঘ) যা দেখবেনঃ
-বিয়ে যেহেতু বারবার করবেন না তাই নিবিড়ভাবে মেয়ের দ্বীনদ্বারিত্বকেই প্রাধান্য দিন! এক্ষেত্রে "ছাড়" দিলে ফিউচারে পস্তাবেন! "মাইয়া দেখতে জাক্কাস, বিয়ের পর মানুষ করে ফেলবো" এজাতীয় চিন্তাভাবনা শয়তানের ধোঁকা মাত্র! পরে একই খাটে থাকতে থাকতে নিজেই "আফ্রিকান জংলী" হয়ে যাবেন!
-.
-"নামাযী মানেই দ্বীনদার" সবসময় এটা নাও হতে পারে!আমাদের সমাজে নারীদের নামায পড়ার চেয়েও পরিপূর্ণ পর্দা করা অনেক কঠিন! বোরকা পড়লেও অধিকাংশ নারী সেটাকে আন্তরিকভাবে আল্লাহর বিধান হিসেবে মেনে নিতে পারেনি! স্টাইলিশ বোরকার দৈনদশার কথা কি আর বলবো!
-.
-.
-শেষ কথাঃ
-নিজে আধা দ্বীনদার হয়ে প্রাক্টিসিং মুসলিমাহ খুঁজতে যাইয়েন না অথবা প্রাক্টিসিং মুসলিম হয়েও আধা দ্বীনদার খুঁজিয়েন না! কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘কুফু' বা সাদৃশ্য রক্ষা করতে বলেছেন! দুনিয়াবী বিষয়গুলো যেমন মালসম্পদ, আভিজাত্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ডিগ্রী এগুলো যেন আপনার চাইতে বেশি না হয়। পরে সমস্যা হতে পরে।
-"আপনার লেভেল থেকে ঠিক একটু কম বা কমসে কম সমতা যেন থাকে, বেশি যেন না হয় " এই নীতিটা সবসময় মাথায় রাখবেন!
-.
-জেনারেল শিক্ষিতরা আলিমাহ কমপ্লিট মেয়ে বিয়ে না করাই সাবধানতা! এটা ইলমের কুফু! পক্ষান্তরে, জেনারেল লাইন থেকে উঠে আসা কোন মেয়ে দাওরা পাশ মুফতী বিয়ে না করাও সাবধানতা! সমস্যা হতে শুনেছি, হলেও কিছু করার নেই! আমার এই কথাগুলো মানতে কষ্ট হতে পারে, কিন্তু এটাই বর্তমান বাস্তবতা, ভোক্তভোগীরা ভাল বলতে পারবেন! তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা কিন্তু নয়! বহু ব্যতিক্রম আছে। এটা জাস্ট প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে আপাত সতর্কতার একটা ফর্মুলা বললাম আর কি!
-.
-আপনি গ্রহণও করতে পারেন আবার বর্জনও করতে পারেন!
-জায্বাকুমুল্লাহু।

-.
-লেখক : আখতার বিন আমীর!

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url