মুসলিমদের একটি অসাধারণ সুবিধা রয়েছে। Muslims have an extraordinary advantage
মুসলিমদের একটি অসাধারণ সুবিধা রয়েছে। তারা দুনিয়াবি বিষয়ে অনেক সময় দুঃখ পেলেও, কোনদিন হতাশ হয়না, জীবনের হাল ছেড়ে দেয়না। কারণ তারা জানে, মানুষের জীবনের একটি Firm আর Solid উদ্দেশ্য আছে। একটা Purpose আছে। মানুষের মৃত্যু হবে, এরপর বারযাখের জীবন শুরু হবে, এরপর আখিরাতের জীবন। মানুষের মৌলিক উদ্দেশ্যই হল এই জীবনে আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করে মৃত্যুর পরের জীবনে সফলতা নিশ্চিত করা। মুসলিমরা জানে, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ তাকে কষ্ট দিলেও, তাকে পরিত্যগ করলেও আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’লা তাকে কখনই ত্যাগ করবেন না। তিনি যে তার ঘাড়ের রগের চাইতেও নিকটে!
মুসলিমরা সবসময় বিশ্বাস করে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি এবং আখিরাতে সাফল্য – এই দুটিই তার জীবনের Sole purpose. এর বাইরে যদি দুনিয়াবি কোন চাহিদা নাও মেটে, তাতে তার কিছুই এসে যায়না। তাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে মুখ কালো করে বসে থাকা মুসলিমদের কাজ নয়। এ জীবনে কোন দুনিয়াবি চাহিদা পূরণ হওয়াই তার মৌলিক গন্তব্য নয়। তার একমাত্র অবশ্য কর্তব্য তার রবকে খুশি করা। এই একটা কাজ ঠিকমত করে যেতে পারলে দুই দিনের দুনিয়ায় কি পেলাম কি হারালাম জাতীয় অংক আর কষতে হয় না। দুনিয়ালোভী, দুনিয়াকেন্দ্রিক, বস্তুবাদীদের ন্যায় প্রতি পদে পদে “ইহা না পাইলে জীবন রাখিয়া কি হইবে” বা “উহা ছাড়া জীবন বৃথা” প্রকারের বাক্যমালা মুসলিমদের মগজ আন্দোলিত করে না। তাই দুনিয়াবি অর্জন, ব্যর্থতা নিয়ে হা-হুতাশও তারা করেনা।
পিঁপড়া আর ঘাসফড়িং এর গল্প ছিল একটা। পিঁপড়া সারা বছর ধরে কষ্ট করে, আশেপাশের কোনকিছুই ‘এনজয়’ না করে শুধু শীতকালের জন্যে খাবার সংগ্রহ করে যায়। আর ঘাসফড়িং আরাম আয়েশ আর ফুর্তি করে দিন কাটিয়ে দেয়। দুনিয়া নিয়ে তার আনন্দের শেষ নেই। অথচ শীত এলেই পিঁপড়ের আরামের দিন শুরু হয়, আর ঘাসফড়িং পড়ে মহা সংকটে। খাবার জন্যে কিছুই যে নেই!
মুসলিমরা জানে এই পৃথিবীর জীবনটা একটা সাময়িক পরীক্ষাকেন্দ্র, যেখানে সে ২৪/৭ পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। এই পরীক্ষাকেন্দ্র ভয়ানক লোভ-লালসা দিয়ে সজ্জিত। মুসলিমরা এই লোভ-লালসা ত্যাগ করে জান্নাতের জন্য কাজ করে যায়। মুসলিমরা বোঝে, আমাদের পায়ের জুতার ফিতাটা পর্যন্ত একটা Purpose নিয়ে সৃষ্ট হয়েছে অথচ আমাদের সমগ্র জীবন একটা Purpose বিহীন আনন্দ-বেদনাসর্বস্ব ছেলেখেলা হবে, এটা আহাম্মকি চিন্তা।
সাফল্য রয়েছে মু’মীনদের জন্যেই।