গায়রে মাহরামদের সাথে একান্ত প্রয়োজন ব্যতিত কথা বলা জায়েজ নাই | It is not permissible to talk to the mahrams in Ghair unless absolutely necessary
আপনার গায়রে মাহরামদের সাথে একান্ত প্রয়োজন ব্যতিত কথা বলা জায়েজ নাই, দেখা দেয়া জায়েজ নাই, এমনকি সে পূর্ণ পর্দার সহিত হলেও।
তো আপনি তার সাথে ঠিক এভাবেই স্বাভাবিক দুরত্ব বজায় রাখবেন।
এবার ধরুন, কেউ আপনাকে প্রোপৌজ করে বসলো, এবার তার সাথে কেমন দুরত্ব রাখবেন বলেন তো.? অন্যান্য গায়রে মাহরামদের মতোই দুরত্ব রাখবেন.?
ধরুন আপনার শরীরে বিষফোড়া হয়েছে। তো আপনি বিষফোড়ার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হঠাৎ জানতে পারলেন আপনার শরীরে ক্যান্সার তৈরি হচ্ছে, প্রথম স্ট্যাজে আছে, ফলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি...
আপনি বিষফোড়ার চিকিৎসার ব্যপারে বেশ সিরিয়াস ছিলেন, এটা সত্য। কিন্তু কথা হলো, এবার আপনি সেই ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যপারে কি বিষফোড়ার মতোই সিরিয়াসনেস দেখাবেন.? নাকি তারচেয়ে বেশি.?
কোন সন্দেহ নাই যে আপনি বিষফোড়ার চেয়ে ক্যান্সার থেকে বাচতে শতগুন বেশি প্রচেষ্টা করবেন...
ঠিক একই ভাবে সকল গায়রে মাহরাম হলো বিষফোড়ার ন্যায়, তাদের সাথে সিরিয়াসলি দুরত্ব বজায় রাখতে হয়, রবের সন্তুষ্টির জন্য। তবে যখন সেই গায়রে মাহরামদের কেউ আপনাকে প্রোপৌজ করে বসে তখন সে হলো ক্যান্সারের ন্যায়। তারসাথে শতগুন বেশি দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারন অন্যান্য গায়রে মাহরাম হলো আপনার জন্য "শয়তানের ফিতনার পটেনশিয়াল টোপ"। আর যে অলরেডি প্রপৌজ করে ফেলেছে, সে হলো "শয়তানের ফিতনার এক্সিস্ট টোপ"
সুতরাং তার ব্যপারে চরমভাবে স্ট্রিক্ট থাকতে হবে।
আরেকটা বিষয় হলো, জীবনসঙ্গী নির্বাচন বিষয়টা খুব সেনসেটিভ। এর উপর আপনার অর্ধেক দ্বীন নির্ভরশীল। আপনার জীবনসঙ্গী চয়েজের উপর আপনার সন্তানের প্যারেন্টিং নির্ভরশীল ।
নবি (সঃ) বলেছেন "তুমি দ্বীনদার নারীকে বিবাহ করো, অন্যথায় তোমরা লাঞ্ছিত হবে" (রেফারেন্সঃ সহিহ্ মুসলিম-1466, আবু দাউদ-2047)
আর প্রেমের বাজারে কখনো দ্বীনদার পাওয়া যায় না।
আপনার দ্বীনদার জীবনসঙ্গী পছন্দ ,
তাই আপনাকে ইম্প্রেস করার জন্য কাউকে যদি পরিবর্তন হতে দেখেন, ইসলামিক এক্টিভিটি করতে দেখেন, তবে "aww how cute আমার জন্য পরিবর্তন হয়ে গেছে" এসব ভাববেন না, গলে যাবেন না,
একটু ভাবুন, আপনার জন্য পরিবর্তন কখনোই দ্বীনদারিতা হতে পারে না, আল্লাহর জন্য পরিবর্তন হলো প্রকৃত হিদায়াত। যে মানুষ আপনাকে পাওয়ার জন্য পরিবর্তন হয়, সে আর যাই হোক দ্বীনদার না। মানুষকে পাওয়ার জন্য দ্বীনদারিতা কয়েকদিনেই শেষ হয়ে যায়।
দ্বীনের উপর টিকে থাকা কোন সহজ ব্যপার না, একমাত্র আল্লাহ্ র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে না হলে দু একদিনের লোকদেখানো দ্বীনদারিতা দেখানোর পরই তা যেন উবে যায় ।
এখন কথা হলো, কিভাবে বুঝবেন যে, সে আপনার জন্য নাকি আল্লাহ্ র জন্য পরিবর্তন হয়েছে?
এটা বুঝা খুব সহজ, সে যদি প্রকৃতপক্ষেই আল্লাহ্ র জন্য পরিবর্তন হয়ে থাকে, তবে আপনার জন্য তার আর কোন বিশেষ আবেগ থাকার কথা না, সে তখন আপনার চাইতেও দ্বীনদার খুজবে।
শেষকথা হলো, দ্বীনদার জীবনসঙ্গী চাওয়ার আগে কয়েকবার ভাবুন, আপনি তার সাথে টিকে থাকতে পারবেন তো.?
আপনি নিজে যদি নিজে দ্বীনদার হন তবে দ্বীনি জীবনসঙ্গীর সাথে থাকলে জান্নাতি ফিলিংস পাবেন,
আর আপনি নিজে মডারেট ক্যাটাগরির মুসলিম হয়ে থাকলে দ্বীনদার জীবনসঙ্গীর সাথে প্রতিটি মুহুর্ত মনে হবে :-
"এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না, সবই তো দেখছি হারাম, এ কোন রেস্ট্রিকশনের মহাসাগরে পড়লাম!" (নাউজুবিল্লাহ্)